Beginner's Guide to SEO [Search Engine Optimization]- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান

Beginner's Guide to SEO [Search Engine Optimization]-সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান


Beginner's Guide to SEO [Search Engine Optimization]সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান বা সংক্ষেপে এসইও (SEO) হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপৃষ্ঠাকে অনুসন্ধান ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদেরঅনুসন্ধান ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা বা সর্বোচ্চকরন করা যাতে এটি অনুসন্ধান করলে ফলাফলে প্রায়শই দেখা যায়। এসইও কোনো একক কাজ নয়, বরং বহুক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত একটি পদ্ধতি, বলা যায় সমন্বিত পদ্ধতি।

সাধারণত একটি অনুসন্ধান ইঞ্জিনের ওয়েব ক্রলার বা সার্চ রোবট বা সার্চ স্পাইডার প্রায় সবসময় ওয়েবে থাকা একটি ওয়েবপৃষ্ঠা অন্য ওয়েবপৃষ্ঠায় একই ভাবে এক ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ায়। এই রোবট বা স্পাইডা্র বা ক্রলারসমূহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিদির্ষ্ট শ্রেণীতে সজ্জিত করে এবং অনুসন্ধান ইঞ্জিন ব্যবহারকারীর খোজকৃত শব্দ বা শব্দগুচ্ছ অনুসারে অনুসন্ধান ইঞ্জিনের ফলাফল পাতায় প্রদর্শন করে। এই ক্রলার বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্ব প্রদান করে। বিষয় সমূহকে তিন ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। পৃষ্ঠার মধ্যে, প্রযুক্তিগত এবং পৃষ্ঠার বাইরে।



পৃষ্ঠার মধ্যে বা ওয়েবসাইটের ভিতরকার এসইওর বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল

  1. ·         ওয়েবসাইটের শিরোনাম বা নাম
  2. ·         ওয়েবসাইটের মেটা বিবরণ
  3. ·         ওয়েবসাইটের মেটা কিওয়ার্ড ট্যাগ
  4. ·         ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর শিরোনাম বা নাম
  5. ·         ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর অল্ট ট্যাগ
  6. ·         ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর ক্যাপশন
  7. ·         ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পৃষ্ঠার মধ্যে অন্ত:সংযোগ
  8. ·         ওয়েবসাইটের সাথে অন্য ওয়েবসাইটের বহি:সংযোগ
  9. ·         সংযোগকৃত শব্দ ইত্যাদি


প্রযুক্তিগত এসইওর বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল

  • ·         সাইটের গতি
  • ·         মোবাইল-বন্ধব
  • ·         ইনডেক্সিং
  • ·         ক্রাউলাবিলিটি
  • ·         সাইট আর্কিটেকচার
  • ·         কাঠামোবদ্ধ উপাত্ত
  • ·         নিরাপত্তা

পৃষ্ঠার বাইরে বা ওয়েবসাইটের বাইরের এসইওর বিষয়সমুহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল

  • ·         সোশ্যাল শেয়ার বা সামাজিক সাইটগুলোতে আলোচনা
  • ·         ব্যাকলিংক বা অন্য ওয়েবসাইটের সাথে সংযোগের সংখ্যা ইত্যাদি



বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন----------  technical razib


এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করে ওয়েবসাইটকে অনুসন্ধান ইঞ্জিনের কাছে দৃষ্টিগোচর করার কাজটিই এসইও' মূল কাজ পরিগণিত হয়। এছাড়া, ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন অনুসন্ধান ইঞ্জিনের কাছে সমর্পণ, বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন স্থাপন বা আদান-প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমেও এসইও কাজ করে থাকে। সম্প্রতি অনুসন্ধান ইঞ্জিনগুলো যেকোন ওয়েবপৃষ্ঠা বা ওয়েবসাইটের সামাজিক প্লাটফর্মের ওপর গুরুত্ব দিয়ে র‌্যাংক প্রদান করছে। এক্ষেত্রে যে ওয়েবপৃষ্ঠা বা সাইটের সামাজিক প্লাটফর্ম যত উন্নত সে সাইটটি অনুসন্ধান ইঞ্জিনের প্রথম দিকে থাকার সম্ভবনা তত বেশি।

ইতিহাস

ইন্টারনেট সৃষ্টি এবং ব্যবহার যখন বাড়তে থাকে ঠিক তখন থেকেই মূলত এসইও (SEO)-এর যাত্রা শুরু হয় যদিও তখন এসইও (SEO)-এর ব্যবহার বা এসইও এলগরিদম বর্তমান অবস্থার মত ছিলো না। যখন ইন্টারনেট এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এবং এর ব্যবহার বাড়তে থাকে তখন সকল ওয়েবসাইটকে সংগঠিত করা বা একত্রিত করে ওয়েবসাইটগুলোতে শ্রেণিবিন্যাস করা খুব জরুরি হয়ে পড়ে ঠিক তখনই অনুসন্ধান ইঞ্জিনের উন্নয়ন শুরু হয়ে যায় আর এটি করেন ওয়েবমাস্টারগণ তারা মূলত অনুসন্ধান ইঞ্জিন ফলাফলের উপর প্রচুর পরিমাণে গবেষণা শুরু করেন এবং এভাবেই অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর যাত্রা শুরু হয়।

১৯৯৫-১৯৯৬ এরপর ১৯৯৫ সালে এসইও প্রথম অফিসিয়ালভাবে যাত্রা শুরু করে। ইয়াহু ডেভেলপারগন সর্ব প্রথম এ্যালফ্যাবেটিক অপটিমাইজেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করেন খুব বেশি সময় নয়, মাত্র বছরেই অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে এসইও এর ব্যাপকতা শুরু হয় কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি এর উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান ইঞ্জিন এলগরিদম করা হতো তখন

১৯৯৮- ২০০৭ এরপর ১৯৯৭ সালের কোন এক সময় ইয়াহু ওয়েবমাস্টার ওয়েবসাইট জমাদান করে। এরপর ১৯৯৮-১৯৯৯ সালের কোন এক সময়ই গুগল জন্ম হয়। তখন গুগল সাম্প রুল শুরু করে এবং এর জন্য গুগল কে নতুন ভাবে এলগরিদম করতে হয়। তবে গুগলের এই সাম্প রুল ভাল ভাবে যাত্রা শুরু করতে আরও প্রায় - বছর সময় লেগে যায়। সকল সাম্প ট্যাকটিকস নিয়ে ২০০০-২০০৭ সালের দিকে গুগলের এসইও এক্সপার্টরা র‍্যাংক ভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস করা শুরু করে। কিন্তু সময় কিছু সমস্যা ছিল তখন এসইও এর পুরাতন নিয়ম অনুযায়ী এসইও এক্সপার্টগন তাদের ওয়েবসাইটি অনুসন্ধান ইঞ্জিনে জমা করতেন এবং ডিরেকটরি টাইপের কিছু লিংক বিল্ডিং করতেন। কিন্তু সমস্যা হল নিয়ম অনুযায়ী অনেক লুকানো পৃষ্ঠা সৃষ্টি করা হত এবং কী-ওয়ার্ড স্টাফই এর মধ্যে ছিলো সকল সমস্যার সমাধান করতে অনুসন্ধান ইঞ্জিন গুগল নতুন ভাবে নিয়ে এলো গুগল ক্রলার। অনুসন্ধান ইঞ্জিন এর সাথে ক্রলার সিস্টেম যুক্ত হওয়ার পর এসইও তে কী-ওয়ার্ড স্টাফিং কমে আসলো এভাবে মূলত আধুনিক এসইও এর যাত্রা শুরু হয়।

পদ্ধতি

সূচিবদ্ধ হওয়া

গুগলবিং এবং ইয়াহুর এর মতো নেতৃস্থানীয় অনুসন্ধান ইঞ্জিন, তাদের অ্যালগরিদমিক অনুসন্ধানের ফলাফলের জন্য পৃষ্ঠা খুঁজতে ক্রলার ব্যবহার করে। অন্যান্য অনুসন্ধান ইঞ্জিন কর্তৃক ইন্ডেক্সকৃত পৃষ্ঠা থেকে লিঙ্ক করা পৃষ্ঠা জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই কারণ তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়া যায়। ইয়াহু নির্দেশিকা এবং DMOZ, দুটি প্রধান ডিরেক্টরি যা ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়, উভয়ের জন্যেই প্রয়োজনীয় ম্যানুয়াল জমা এবং মানব সম্পাদকীয় পর্যালোচনা প্রয়োজন হতো। গুগল অনুসন্ধান কনসোল প্রদান করে, যার জন্য একটি এক্সএমএল সাইটম্যাপ ফিড তৈরি করা যায় এবং সবগুলো পৃষ্ঠা পাওয়া যায়, বিশেষ করে এমন পৃষ্ঠা যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিঙ্কগুলি অনুসরণ করে আবিষ্কারযোগ্য নয় তাদের ইউআরএল জমা কনসোল ছাড়াও। ইয়াহু পূর্বে একটি প্রদেয় পরিষেবা প্রদান করে যা প্রতি ক্লিকের জন্য মূল্য প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করে; যাইহোক, এই অনুশীলনটি ২০০৯ সালে বাতিল করা হয়।

হোয়াইট হেট ব্ল্যাক হেট পদ্ধতি

হোয়াইট হ্যাট এস হচ্ছে, যে পদ্ধতিতে গুগল এর সকল নীতিমালা মেনে সম্পূর্ণ বৈধভাবে একটি সাইটকে প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। এস বলতে হোয়াইট হ্যাট এস কেই বোঝানো হয়। হোয়াইট হ্যাট এস অনেক কষ্টকর। কিন্তু, এটি ঝুঁকিমুক্ত। এর ঠিক বিপরীত হোল ব্ল্যাক হ্যাট এস ও। যেহেতু অনুসন্ধান ইঞ্জিন মানুষ নয়, তাই এর সাথে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করার সুযোগ রয়েছে। এই প্রতারণা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে স্প্যামিং। স্প্যামিং করে খুব সহজেই একটি সাইটকে গুগোল এর প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়ে আসা যায়। কিন্তু, যদি একবার সেই কৌশল গুগল এর কাছে ধরা পরে, তবে গুগোল তাকে কালো তালিকায় ফেলে দেয়। ওই সাইটকে গুগল তার ইনডেক্স থেকে মুছে ফেলে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post

Comments system