বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর ইতিহাস ও সক্ষমতা ।

বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী: Military of Bangaladesh:



জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংগঠন: Organization of Bangaladesh Defence Forces:

১৯৭১ সালের ২৫ মাার্চ এর পর তদানীন্তন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক নিয়মিত সৈন্য,  সাবেক ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যদের, সাবেক ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলসের এর সদস্য, পূর্ব পাকিস্তান পুলিশ এর সদস্য গন , প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তরুণ দেরকে নিয়ে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের পর মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যারা নিয়মিত সামরিক বাহিনী তবে যোগদান করতে ইচ্ছুক তাদের কে নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে ওঠে। বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা বাহিনী তিন ভাগে বিভক্ত;যেমন ১/ স্থলবাহিনী (Army) ২/নৌবাহিনী (Navy) ৩/বিমান বাহিনী ( Air Force)



1.Army (স্থলবাহিনী)

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর নিয়মিত সৈন্য, ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যদের এবং তরুণ মুক্তিযোদ্ধা দের নিয়ে সেনাবাহিনীর স্থল বাহিনী গড়ে ওঠে।
বাংলাদেশ স্থল বাহিনীর অত্যাধুনিক সাজ-সরমজান ও অস্ত্র শস্তের ঘাটতি থাকলে ও তাদের সাংগঠনিক কাঠামো, সংহতি,মোনবল , দৃঢ়তা ও দেশ প্রেম পৃথিবীর যেকোন দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আদর্শ স্বরুপ। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদানের ব্যাবস্হা করা হয় ও হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্থল বাহিনীর কয়েকটি বিভাগ রয়েছে--- ১. সাধারণ বিভাগ, ২. এ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল বিভাগ , ৩. অস্ত্র সংগ্রহ বিভাগ , ৪. ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ , ৫. মেডিকেল বিভাগ , ৬. মিলিটারি সেক্রেটারি য়েট । ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুর, বগুড়া, যশোর, ও সৈয়দপুরে সামরিক সেনা নিবাস রয়েছে।



নৌবাহিনী:(Navy):
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর নিয়মিত সৈন্য, ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যদের এবং তরুণ মুক্তিযোদ্ধা দের নিয়ে নৌবাহিনী গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে অসংখ্য তরুণ বিভিন্ন সময়ে নৌবাহিনী তবে যোগদান করে একে সমৃদ্ধ করে তুলেছে।
যদিও পাকিস্তান নৌবাহিনী থেকে আমরা কোন যুদ্ধ জাহাজ পাইনি তবুও অল্প সময়ে রং মধ্যে কিছু কিছু গান বোট ও রণতরী সংগ্রহ করে আমাদের নৌবাহিনী কে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে তোলা হয়েছে। চট্টগ্রামে একটি নৌ-প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বি. এন. এস , তিস্তা , কর্ণফুলী,আবু বকর, ঈসা খাঁ, তিতুমীর ইত্যাদি রণতরী এবং গানবোট গুলো যেকোন বিদেশি হামলা প্রতিরোধে এবং অভ্যন্তরীন ও সমুদ্র সীমায় অবস্থিত মৎস্যচারন ক্ষেত্র গুলো সংরক্ষণে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত। এ ছাড়াও চট্রগ্রাম এবং খুলনায় নৌবাহিনী বেস (Base) রয়েছে।



বিমান বাহিনী:(Air Force):
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রথমে গড়ে ওঠে ছিল প্রাক্তন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর স্বাধীনতা যুদ্ধের অংশগ্রহণ কারী সদস্যদের নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বন্ধু রাষ্ট্র সমূহ থেকে পাওয়া সামান্য কিছু বিমান নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যাত্রা শুরু করে।
সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা দের পদবিন্যাস:


Army:
১/ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট
২/ লেফটেন্যান্ট
৩/ ক্যাপ্টেন
৪/ মেজর
৫/ লেফটেন্যান্ট কর্নেল
৬/ কর্নেল ( কমান্ডার অব রেজিমেন্টে)
৭/ ব্রিগেডিয়ার ( ব্রিগেড কমান্ডার )
৮/ মেজর জেনারেল
৯/ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ( ডিভিশনের কমান্ডার )
১০/ জেনারেল
১১/ ফিল্ড মার্শাল।

Navy:
১/ মিডশীপম্যান ক্যাডেট
২/ সাবলেফটেন্যান্ট
৩/ লেফটেন্যান্ট
৪/ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার
৫/ কমান্ডার
৬/ ক্যাপ্টেন
৭/ কমোডর ( ১ম ও ২ য় শ্রেনী )
৮/ রিয়ার এডমিরাল
৯/ ভাইস এডমিরাল
১০/ এডমিরাল
১১/ এডমিরাল অব দি ফ্লিট

Air Force: 
১/ পাইলট অফিসার
২/ ফ্লাইট অফিসার
৩/ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট
৪/ স্কোয়াড্রন লিডার
৫/ উইং কমান্ডার
৬/ গ্রুপ ক্যাপ্টেন
৭/ এয়ার কমোডর
৮/ এয়ার ভাইস মার্শাল
৯/ এয়ার মার্শাল
১০/ এয়ার চীফ মার্শাল
১১/ মার্শাল অব দি এয়ার ফোর্স


১৯৭১ সালের ২৫ মাার্চ এর পর তদানীন্তন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক নিয়মিত সৈন্য,  সাবেক ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যদের, সাবেক ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেলসের এর সদস্য, পূর্ব পাকিস্তান পুলিশ এর সদস্য গন , প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তরুণ দেরকে নিয়ে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের পর মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যারা নিয়মিত সামরিক বাহিনী তবে যোগদান করতে ইচ্ছুক তাদের কে নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে ওঠে।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Comments system